Pages

Tour to Padma Resort - ঘুরে আসুন পদ্মা রিসোর্ট by Travel Bangladesh

Travel Bangladesh

Bangladesh Padma Resort - পদ্মা রিসোর্ট
মুন্সিগঞ্জ জেলার সবটা জুড়ে প্রমত্তা পদ্মা। এই রিসোর্টটির নাম পদ্মা রিসোর্টলৌহজং থানা কমপ্লেক্স নদীর যে পাড়েঠিক তার উল্টো পাড়ে এই রিসোর্ট। রিসোর্টের ট্রলারে করে নদী পার হয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে রিসোর্টে।কাঠের পাটাতন ফেলে নদীর ঘাট থেকে রিসোর্টের গেট পর্যন্ত অস্থায়ী পথ। সেখান থেকে কাঠের সাঁকো দিয়ে অফিস বা কেবিনগুলোতে যাওয়া যায়। সোজা গেলে অফিস কক্ষ। কেবিনটির নাম বসন্ত। বুঝলাম বৈচিত্র্য আছে আরও অনেক। বাংলা ১২ মাস আর ষড়ঋতুর নামে কাঠের কটেজ। মোট ১৬টি কেবিন আছে এখানে থাকার। বৈশাখ থেকে চৈত্র পর্যন্ত ১২টি। বাকি চারটির নাম হলোগ্রীষ্মবর্ষাশরৎ ও বসন্ত। বাকি থাকল শীতহুম। খাবারঘরটির নাম শীত’!


প্রতিটি থাকার কেবিন দুই লেভেলের বা বলা ভালো তিন লেভেলের। দক্ষিণ দিকে মুখ করা। নিচতলায় আড্ডার জায়গা,কয়েকটি সোফা। আছে একটি খাটও। দোতলার দিকে আধাআধিতে রয়েছে খোলা ডেক। এটি নদীর দিকে। মানে এই ডেকে বসে খাওয়া যায় নদীর হাওয়া। গভীর রাতে জ্যোৎস্নার আঁকিবুঁকি দেখা যায় প্রমত্তা পদ্মার পানিতে!
বাকি অর্ধেক উঠলেই দোতলা থাকার ঘর। এ ঘরে দুটি খাট। ছনের আধুনিক ছাউনি ভেদ করে বৃষ্টির পানি নিচে আসতে পারে না বটেকিন্তু দেখার চোখ থাকলে উপভোগ করা যায় ছাদে পানির চমৎকার সব নকশা। 

নদীর পানি কূল ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে রিসোর্টে। পানি ঠেকানো হয়নিফলে সেটি অবাধে ঢুকে পড়েছে। কেবিনগুলোর নিচে দিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। কয়েক ফুট গভীরতার পানি। ঝিরঝিরি বাতাস।
বিকেলে কিংবা সন্ধ্যার পর ট্রলারে করে ঘুরে আসা যায় নদীতে। ট্রলার বা নৌকা ঘণ্টা হিসাবে ভাড়া করা যায়। রিসোর্টের রয়েছে নিজস্ব দোতলা ট্রলার। বড় গ্রুপ হলে সেটি ভাড়া করা যায় ঘণ্টায় হাজার টাকা হিসাবে। 

শীত নামের খাবারঘরে দুপুররাত আর সকালের খাবার। খোলা ডেকে বসেও খাওয়া সম্ভব। পদ্মার ইলিশ তো থাকবেইসঙ্গে ভর্তা-ভাজি। সেন্ট মার্টিনের মতো এখানকার বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিজস্ব জেনারেটরে। তবে সেন্ট মার্টিনের মতো রাত ১১টায় জেনারেটর বন্ধ করে দেওয়া হয় না। ফলে ইচ্ছে করলে বাতি জ্বালিয়েই গল্প করতে পারেন সারা রাত। অথবা বাতি নিভিয়ে জ্যোৎস্না রাতেই হতে পারে জম্পেশ আড্ডা। আর যদি সঙ্গে নিয়ে যান হোম থিয়েটার বা নিদেনপক্ষে একটি ভালো মানের সাউন্ড সিস্টেমতাহলে তো সোনায় সোহাগা। 

নিজেদের গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়। বুড়িগঙ্গা সেতু পার হয়ে সোজা মাওয়া চৌরাস্তার মোড়। তারপর বাঁয়ে লৌহজং। এই মোড় থেকে সাত কিলোমিটার দূরে লৌহজং থানা কমপ্লেক্স। সেখানেই নদীর ঘাট।
গুলিস্তান থেকে গাংচিল গাড়িতে যেতে পারবেন। আবার মাওয়া পর্যন্ত যেকোনো বাসে গিয়ে সেখান থেকে স্কুটারে করে চলে আসতে পারবেন রিসোর্টের ঘাটে। আগে থেকে বুকিং করা থাকলে রিসোর্টের লোক আপনাদের সহায়তা করবে নদী পাড়ি দিতে। বুকিং ছাড়া যদি যানতাহলে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে দিয়ে রিসোর্টে চলে যেতে পারেন। কটেজ খালি পেলে তো পেলেননা পেলে শীতে খাবার খেয়ে আবার চলে আসতে পারেন। 

সারা দিনের জন্য অথবা ২৪ ঘণ্টার জন্য কটেজ ভাড়া দেওয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কটেজপ্রতি ভাড়া দুই হাজার টাকা। আর পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত থাকলে তিন হাজার টাকা। দুপুর বা রাতের খাবার ৩০০ টাকা করে আর সকালের নাশতা ১০০ টাকা। সবটাতেই ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। 

নিজেরা সরাসরি বুকিং করতে পারেন। পদ্মা রিসোর্টের ওয়েবসাইট(www.padmaresort.net) থেকে সব তথ্য পাওয়া যাবে। অথবা আমাদের মতো দল বেঁধে যাওয়ার বেলায় কোনো ট্যুর অপারেটরের সাহায্য নিতে পারেন। আমাদের ট্যুরের সব ঝক্কি সামলেছে সাফারি প্লাস (০১৮১৯২১৮১৫৮ বা ০১৮১৯৪০৫০০০) 

যেকোনো শুক্রবার সকালে চলে গিয়ে পরদিন সকালে ফেরত আসতে পারেন। আর যদি পূর্ণিমা হিসাব করে যানতাহলে সেটি হবে প্রমত্তা পদ্মায় বাড়তি পাওয়া। 

কিছু তথ্যঃ

মালিকানাঃ মোঃ আলি, পরিচালক, পদ্মা রিসোর্ট লিমিটেড

ভাড়া এবং অন্যান্য খরচঃ

১) দিন – প্রতি কটেজ – ২০০০/- (১০ জন থাকার ব্যবস্থা)
২) ২৪ ঘন্টা প্রতি কটেজ – ৩০০০/- (৪ জন থাকার ব্যবস্থা)
৩) পুরো কটেজ – ১৬ কটেজ ও রেস্তোরা – ৪০,০০০/- ( ২০০ জন ব্যবস্থা)
খাবারঃ
১। ভাত/পোলাও, সবজি, পদ্মার হিলসা মাছ, মুরগী / মাংস , ডাল এবং সালাত – প্রতিজন ৩০০/-
২। সকালের নাস্তা – রুটি, সবজি , ডাল , ডিম ও চা – প্রতিজন ৬০/-
ঠিকানাঃ
পদ্মা রিসোর্ট
৬/এ-১ , কন্সেপ্ট টাওয়ার (৫ম তলা),৬৮-৬৯, গ্রীন রোড (পান্থপথ সিগ্নালের কাছে)
ঢাকা -১২০৫, বাংলাদেশ , ফোন- ৮৬২৮৮৭৮ , মুঠোফোন – ০১৭১২১৭০৩৩০,০১৭১৩০৩৩০৪৯

4 comments:

Md. Syeed Chowdhury said...
This comment has been removed by the author.
Md. Syeed Chowdhury said...

Gaangchil is one of the worst services in this route. You shouldn't advertise this company.

Unknown said...

Tell Me about the transport system from Dhaka.

Unknown said...

COULD YOU PLEASE INFORM WHEN GAANCHIL PARIBAHAN STARTED JOURNEY FROM GULISTHAN TO PADMA RESORT ON FRIDAY

Post a Comment